প্রথম দুই ওভারে কোনো রানই দেননি নাসুম আহমেদ। কয়েকবার আউট হতে হতেও হননি কিউই ব্যাটাররা। খেলতেই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না এই বাঁহাতি স্পিনার। অবশেষে সপ্তম ওভারে পেলেন উইকেটের দেখা। ফিফটি করা উইল ইংয়কে ফেরান স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে। ৯১ বলে ৫৮ রান করেন ইয়ং। ১ বল পরেই নতুন ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান শূন্য রানে। সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি রাচিন, বল লাগে পায়ে। আম্পায়ার আউট না দিলেও নিশ্চিত ছিলেন নাসুম। রিভিউ নিলে দেখা যায় স্পষ্ট আউট। দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এর আগে প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নাসুম উইকেট শূন্য ছিলেন।
মোস্তাফিজের আঘাতে ভাঙল রেকর্ড গড়া জুটি
অফে করা মোস্তাফিজের ফুল বলে লেগ সাইডে ক্লিপ করতে চেয়েছিলেন নিকোলস। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। বল লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। নিকোলস রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি। ৫৭ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ভেঙে যায় ৯৭ রানের জুটি। অবশ্য এই জুটিতে রেকর্ড গড়ে কিউইরা। যে কোনো উইকেটে মিরপুরের মাঠে এটি তাদের সর্বোচ্চ জুটি। এখন পর্যন্ত ৭ ওভারে ২৭ রান দিয়ে মোস্তাফিজের এটি তৃতীয় উইকেট।
ইয়ংয়ের ফিফটি, জুটিতে নতুন রেকর্ড
দলীয় ১০০ রানের পরই ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন ইয়ং। তার ইনিংসটা ছিল ধীরগতির। ৮৩ বলে দেখা পান ফিফট। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ৪টি আর ছয়ের মার ১টি। এর আগে সৌম্যর মিডিয়াম পেসে সোজাসুজি মেরে বাউন্ডারি পার করেন ইয়ং। তাতে ২৫.৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয়। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দুজনে ইতিমধ্যে যোগ করেন ৯১ রান। মিরপুরে যে কোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি।
ফিফটির জুটিতে কিউইদের পাল্টা প্রতিরোধ
পরপর দুই ওভারে মোস্তাফিজের দুই উইকেটে ব্যাকফুটে চলে যায় নিউ জিল্যান্ড। ওপেনিংয়ে নামা ইয়ং নতুন ব্যাটার হ্যানরি নিকোলসকে নিয়ে পালটা প্ররিরোধ গড়েন। ক্রিজে থিতু হয়ে দুজনে রানের চাকা সচল রাখেন। ফিফটির জুটি পূর্ণ হয় ৬১ বলে। মাঝে ইয়ং ১৮ রানে বেঁচে যান বাংলাদেশ রিভিউ না নিয়ে। ইয়ং ৩২ ও নিকোলস ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন।
রিভিউ না নিয়ে বাংলাদেশের উইকেট হাতছাড়া
তানজীম হাসান সাকিবের করা ব্যাক অব লেন্থের বল নিচু হয়ে আঘাত করে ইয়ংয়ের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউর আবেদন করেনি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় স্পষ্ট আউট। রিভিউ নিলেই উইকেটের দেখা পেতো বাংলাদেশ। ১৮ রানে বেঁচে যান ইয়ং।
বৃষ্টির পর টানা দুই ওভারে মোস্তাফিজের দুই উইকেট
আগের দুই ওভার করে নাসুম দুই ওভারই মেডেন দেন। চাপে রাখেন কিউই ব্যাটারদের। সেই চাপ কাজে লাগিয়ে মোস্তাফিজ তুলে নিলেন দ্বিতীয় উইকেট। ক্রিজে এসে ৩ বলও খেলতে পারেননি বোয়েস। মোস্তাফিজের লেন্থ বলে ব্যাট চালিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। সোহান এবারও ভুল করেননি। মাত্র ১ রান আসে বোয়েসের ব্যাট থেকে। ২ রান পরেই দ্বিতীয় উইকেট হারালো নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে ইয়ংয়ের সঙ্গী হ্যানরি নিকোলস।
মোস্তাফিজের প্রথম শিকার অ্যালেন
মোস্তাফিজের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বল। আড়াআড়িভাবে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। ফিন অ্যালেন ঠিকঠাকভাবে খেলতে পারেননি। বল ব্যাটে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন নুরুল হাসান সোহান। ২০ বলে ৯ রান করেন অ্যালেন। ১৪ রানে ভাঙে কিউই ওপেনিং জুটি। ক্রিজে ইয়ংয়ের সঙ্গী চ্যাড বোয়েস।
ওভার কমে খেলা শুরু
বৃষ্টির কারণে খেলা কমেছে ৮ ওভার করে। ৪২ ওভারে খেলবে দুই দল। পুনরায় খেলা শুরু হয় ৪টা ৩০ মিনিটে। এর আগে দুপুর ২টায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে নিউ জিল্যান্ড। ৪.৩ ওভার পরই বৃষ্টি হানা দেয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় খেলা শুরু হয়।
থেমেছে বৃষ্টি, প্রস্তুত হচ্ছে মাঠ
থেমেছে বৃষ্টি। সরানো হচ্ছে শের-ই-বাংলার কাভার। তবে লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ খেলা উপযোগী করে গড়ে তুলতে কিছুটা সময় লাগবে।
ম্যাচের শুরুতেই বৃষ্টির হানা
টসের পরেই বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। তবে তখন বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যথাসময়ে শুরু হয় খেলা। শুরু হলেও ৪.৩ ওভার পর আবার বৃষ্টি হানা দেয়। সঙ্গে ছিল ঝড়ো বাতাস। ধীরে ধীরে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, তৌহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, চ্যাড বোয়েস, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাকঞ্চি, ইশ সোধি, কাইল জেমিসন, লোকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।
টস
পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছে দুই দল। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় খেলাটি শুরু হয়। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ভূমিকা
মাহমুদউল্লাহ সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে খেলেন গত মার্চে। অন্যদিকে সৌম্য সবশেষ ওয়ানডে খেলেন ২০২১ সালের মার্চে, ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ভূমিকা কি থাকবে? সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে লিটনের উত্তর, ‘রোল (ভূমিকা) জিনিসটা আমি আসলে বলতে চাই না। এটা আসলে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।’
তামিমের ফেরা
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডের পর অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নানা নাটকীয়তায় আবার ফিরে আসেন। চিকিৎসা শেষে ছিলেন রিহ্যাবে। ফিট হয়ে ফিরেছেন নিউ জিল্যান্ড সিরিজে।
পরিসংখ্যানের পাতা
২০০৮ সালের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে কখনো হারাতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। এরপর সাত ওয়ানডে খেলে প্রতিটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৮ বার। বাংলাদেশ জিতেছে ১০ ম্যাচে, বাকি ম্যাচগুলোতে নিউ জিল্যান্ড।
পরিসংখ্যান দুই অধিনায়কের অজানা
২০০৮ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে কখনো ওয়ানডেতে হারাতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। এরপর সাত ওয়ানডে খেলে প্রতিটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। নিজেদের এই অর্জন সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস। আর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পা রাখা নিউ জিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকি ফার্গুসনও জানতেন না এমন কিছু।
অতলে হারিয়ে যাওয়া সেই বিস্মৃতি মনে করতে চাইলেন না ফার্গুসন, ‘আমি জানি না (পরিসংখ্যান)। তবে সেটা মনে রাখার মতো বিষয় নয়। আমরা এখানে সিরিজ খেলতে এসেছি এবং ভালো খেলে সিরিজ জিততে চাই।’
আর নিজেদের গর্বের রেকর্ড সম্পর্কে জেনে লিটনের অবাক চাহনি থেকে বেরিয়ে আসে, ‘২০০৮ সালের পর আর খেলেনি! ২০০৮ সালে কি হয়েছে না হয়েছে ওইটা…।’
অধিনায়ক লিটনের চাওয়া শুধু জয়
সাকিব আল হাসান বিশ্রামে থাকায় এই সিরিজে নেতৃত্বে লিটন দাস। পূর্ব ইতিহাস না জানলেও তার চাওয়া শুধু জয়, ‘শেষ তিন চার বছর ধরে যেগুলো ম্যাচ খেলেছি বিশেষ করে আমাদের হোমে, আমাদের ফল খুবই ভালো। আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস আছে, ভালো ক্রিকেট খেললে জেতার সুযোগ থাকবে।’