চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডকে পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৯টি শর্ত দিয়ে তিন মাসের জন্য বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডকে সাময়িক এ অনুমোদন দেয়।
বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নুরুল আকতার বলেন, পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার থেকে এই রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে।
৯টি শর্তের মধ্যে রয়েছে- বন্দরের অনাপত্তি, ডিপোসংশ্লিষ্ট সব ধরনের নীতিমালা প্রতিপালন, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিপজ্জনক পণ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
শর্তগুলো প্রতিপালন করা না হলে তিন মাস পর এ অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
নুরুল আকতার আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে ডিপোতে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। আগুন নেভাতে পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের কাজ চলছে। কাস্টমসের শর্ত অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি পাওয়া চট্টগ্রামের ২০টি কনটেইনার ডিপোর একটি বিএম ডিপো। দুর্ঘটনার আগে বিএম ডিপোতে মোট আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৮ শতাংশ ব্যবস্থাপনা হতো।
দুর্ঘটনার পর বিএম ডিপোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে এতে অন্য ডিপোগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এ কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার ও ডিপো সমিতি এ ডিপোতে (বিএম) আমদানি-রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিতে এনবিআরের কাছে চিঠি দেয়।
এনবিআর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুশাসন প্রদান করে।
বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষও সব ধরনের কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন চেয়ে দুই দফায় কাস্টমসে আবেদন করে। এই আবেদনে সংস্কার কার্যক্রম ও নিরাপত্তাব্যবস্থার অগ্রগতি তুলে ধরে তারা।
তার পরই বিএম ডিপোকে সাময়িক সময়ের জন্য পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।